আন্তর্জাতিক ডেস্ক
অভিবাসী নিয়ন্ত্রণে মর্যাদাপ্রাপ্ত শরণার্থীদের আত্মীয় স্বজনের ডিএনএ পরীক্ষা করবে অস্ট্রিয়া। দেশটির চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার রোববার জানান, পারিবারিক সম্পর্ক প্রমাণে প্রয়োজনীয় জেনেটিক পরীক্ষার পরিমাণ আরো বাড়াতে হবে৷ নথি বিশেষজ্ঞ এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদেরও সবটা যাচাই করে দেখতে হবে৷ খবর ইনফোমাইগ্রেন্টসের।
অস্ট্রিয়ান বার্তা সংস্থা এপিএ-কে রক্ষণশীল এই নেতা বলেন, পারিবারিক পুনর্মিলন প্রক্রিয়ার মতো নথির ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে৷
তার কথায়, ‘‘আমরা কঠোর চেকের মাধ্যমে পারিবারিক পুনর্মিলনকে সীমাবদ্ধ করতে চাই৷’ যদিও এই প্রক্রিয়ার সময় কত জন ভুয়া ব্যক্তিকে শনাক্ত করা গেছে, তা উল্লেখ করেননি তিনি৷
করোনা মহামারির পর থেকে মর্যাদাপ্রাপ্ত শরণার্থীর আত্মীয়দের পুনর্মিলন প্রক্রিয়ার কারণে ভিয়েনায় অভিবাসী সংখ্যা বেড়েছে বলে জানা গেছে৷
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রথম ত্রৈমাসিকের মধ্যে প্রায় ছয় হাজার ৯০০টি আশ্রয় আবেদন নিবন্ধন করেছে৷ এর প্রায় ৪৫ শতাংশের নিবন্ধন হয়েছে পারিবারিক পুনর্মিলন কর্মসূচির অংশ হিসাবে৷ আগের বছরে যা ছিল ১৬ শতাংশ৷
ইউরোপের এই দেশটিতে বেশ কয়েক বছর ধরেই শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে৷ যদিও অস্ট্রিয়া কর্তৃপক্ষ মনে করে, মানবপাচারকারীরা এখন অস্ট্রিয়ার বেশিরভাগ অংশ এড়িয়ে যাচ্ছে এবং ইতালির দিকে বেশি মনোযোগী হচ্ছে৷ কিন্তু অভিবাসী প্রবাহ ঠেকাতে সীমান্ত এলাকাতেও কড়া নজরদারি বজায় রেখেছে তারা৷
২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে আশ্রয়প্রার্থীদের নিজ দেশে বা যে দেশে আবেদন করেছে সেখানে না রেখে তৃতীয় দেশে পাঠানোর ব্যাপারে অস্ট্রিয়া যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি সহযোগিতা চুক্তি করেছে৷ অস্ট্রিয়াই প্রথম ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ যারা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এমন একটা চুক্তি সই করেছে৷