ঢাকা অফিস:
আগামী বৃহস্পতিবার (৯ মে) হজ ফ্লাইট শুরু হতে যাচ্ছে। বুধবার হজ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অথচ ভিসা সমস্যায় এখনো সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া করতে পারেনি বেশিরভাগ হজ এজেন্সি। ভিসা আবেদনের বর্ধিত সময়ও শেষ হচ্ছে কাল মঙ্গলবার। এখন পর্যন্ত আবেদন করতে পারেনি প্রায় ৮০ শতাংশ হজ এজেন্সি। এখনো ভিসা না পাওয়ায় অনিশ্চয়তায় পড়েছেন প্রায় ৬৬ হাজার হজযাত্রী। আজ মঙ্গলবারই সৌদি দূতাবাসের ভিসা দেওয়ার শেষদিন। ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, ভিসা দেওয়ার সময় বাড়ানোর জন্য সৌদি দূতাবাসের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে।
জানা গেঝে, চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজ কোটা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অতিরিক্ত খরচের কারণে সে কোটা পূরণ হয়নি। শেষ পর্যন্ত গাইডসহ বেসরকারিভাবে ৮০ হাজার ৬৮৮, আর সরকারিভাবে ৪ হাজার ৪১৮ জন সৌদি আরবে যেতে পারবেন।
কোটা পূরণ না হওয়াসহ বিভিন্ন জটিলতা কাটছে না এবারের হজযাত্রায়। এর মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে হজ ফ্লাইট। ভিসা না পাওয়ায় অনেক এজেন্সি এখনো সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়াই করতে পারেনি। অন্যদিকে সব হজযাত্রীর ভিসা এখনো হয়নি।
এসব নিয়ে দুশ্চিন্তায় হজ এজেন্সিদের সংগঠন হাব।
হাবের সভাপতি এম শাহাদত হোসাইন তসলিম বলেন, ‘হজযাত্রীদের বাড়িভাড়ার ভিসা সময়মতো পাওয়া যায়নি। ঠিক সময়মতো পাওয়া যায়নি, এমনটিও আসলে নয়। এ বছর এই ভিসা দেওয়াই হয়নি। এই প্রতিবন্ধকতা বা প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রাইভেট এজেন্সিগুলো তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।’
হাব উদ্বেগ জানালেনও এসব জটিলতা কাটিয়ে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার কথা বলছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তাদের আশা, নিবন্ধন করা সব হজযাত্রীই সৌদি আরবে যেতে পারবেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অফিসের পরিচালক মোহাম্মদ কামরুজামান বলেন, ‘হজ ব্যবস্থাপনার ঘাটতির বিষয়ে কোনোকিছু বা কোনো মেসেজ আমাদের কাছে আসেনি। এ ছাড়া কোনো এজেন্সি থেকেও বলা হয়নি যে, তারা কোনো জটিলতায় পড়েছে বা কোনো সমস্যা হচ্ছে। যে বিষয়গুলো রয়েছে, সবগুলোই প্রক্রিয়াধীন।’
এসব হজযাত্রীর জন্য বাংলাদেশ বিমানসহ তিনটি এয়ারলাইনস আগামী ৯ মে থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। হজযাত্রীদের নিয়ে শেষ ফ্লাইট যাবে ১২ জুন।
র্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৮৩ হাজার ২০৯ জন নারী-পুরুষ পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে যাবেন। এর মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। বাকি ৪ হাজার ৩১৪ জন যাবেন সরকারি ব্যবস্থাপনায়।
সাত শতাধিক হজ এজেন্সি হজযাত্রীদের নিবন্ধন করেছে। ২৫৯টি লিড এজেন্সি হজযাত্রীদের মূল ব্যবস্থাপনায় থাকবে। এর মধ্যে সোমবার পর্যন্ত মাত্র ৫৫টি এজেন্সির আংশিক ভিসা আবেদন হয়েছে। বাকি ২০৪টি এজেন্সি ভিসা প্রক্রিয়া শুরুই করতে পারেনি। এই এজেন্সিগুলোর অধীনে মোট ৭০ হাজারের বেশি হজযাত্রী রয়েছে।
হজ এজেন্সির মালিকরা বলছেন, ভিসা জটিলতা কোথায় গিয়ে ঠেকে তা বলা মুশকিল। মোনাজ্জেমদের ভিসা জটিলতার ফলে অনেক সময় চলে গেছে। এজন্য বাড়ি ভাড়া করা যায়নি। আর বাড়ি ভাড়া না হলে ভিসার আবেদন করা যায় না। যদি ভিসা আবেদনের সময় বাড়ানো না হয় তবে বড় ধরনের সংকটে পড়তে হবে। অনেক হজযাত্রী চলতি বছর হজেই যেতে পারবেন না।