আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরায়েলে নজিরবিহীন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। আজ (বৃহস্পতিবার) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের উপর এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিল। ইরানের ১৬ ব্যক্তি ও দুটি সংস্থার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের সেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে যারা ইরান সরকারের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন উদপাদন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত।
১৩ এপ্রিলের হামলায় শাহেদ ভেরিয়েন্টের ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবহার করেছিল ইরান। যে দুটি প্রতিষ্ঠনিকে লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তারা ইরানের ক্ষেপনাস্ত্রের জন্য ইঞ্জিন তৈরি করে থাকে। নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে এই ক্ষেপণাস্ত্রের ইঞ্জিন তৈরিতে বড় ধরণের বাধার সম্মুখীন হবে ইরান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালায় ইরান। আমাদের মিত্র এবং অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে রক্ষা করেছে। আমরা এই আক্রমণকে পরাজিত করতে সাহায্য করেছি। আজ (বৃহস্পতিবার) আমরা ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা এবং রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছি।
বিবৃতিতে বলা হয়, হামলার পর আমি আমার সহকর্মী জি-৭ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা ইরানের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়াতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের মিত্র এবং অংশীদাররা ইরানের অস্থিতিশীল সামরিক কর্মসূচি সীমিত করার জন্য অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা জারি এবং ব্যবস্থা নিচ্ছে বা নেবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যারা ইরানের হামলাকে সক্ষম বা সমর্থন করে তাদের সবার কাছে এটি পরিষ্কার হোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা এই অঞ্চলে আমাদের কর্মীদের এবং অংশীদারদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অপর দিকে যুক্তরাজ্যও ইরানের ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত দেশটির সামরিক বাহিনী-সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে।
ইসরাইলে হামলা করায় ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। আঞ্চলিক এই জোটের শীর্ষ কূটনীতিক জোসেফ বোরেল এ কথা জানিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ইইউর রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি বৈঠকের পর বোরেল নতুন নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কাজ শুরু করার কথা জানান। তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেসের সাম্প্রতিক বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, মধ্যপ্রাচ্য একেবারে খাদের কিনারায় এসে পৌঁছেছে।