ইতালির ভিসা পেতে দেরি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা দিয়েছে ঢাকাস্থ ইতালির দূতাবাস। গতকাল মঙ্গলবার নিজেদের ফেসবুক পেইজে দূতাবাস থেকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, ভিসা আবেদনের সংখ্যা করোনা মহামারির আগে সময়ের তুলনায় তিনগুণেরও বেশি এবং ২০২২ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। গড়ে ৪টির মধ্যে একটি আবেদনের সঙ্গে জাল নথি বা অনিয়মিত নুল্লা ওস্তা রয়েছে। এই পরিস্থিতির কারণে, দূতাবাসকে অতিরিক্ত চেকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যা প্রকৃত আবেদনকারীদের প্রক্রিয়াটিকে ধীর করে দিচ্ছে।
দূতাবাস আরও জানিয়েছে, আমরা ভিসা আবেদনকারীদের একটি সাবলীল সেবা দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছি। দূতাবাসের ভিসা বিভাগটি সম্প্রতি একটি নতুন এবং বড় জায়গা নিয়েছে। কিছু অতিরিক্ত কর্মীও প্রত্যাশা করা হয়েছে। ঢাকায় ইতালির জন্য ভিএফএস ভিসা আবেদন কেন্দ্রটি বৃহত্তর এবং আরও দক্ষ প্রাঙ্গণে স্থানান্তরিত হয়েছে।
চলতি বছর দূতাবাসের প্রক্রিয়া করা ভিসা আবেদন ২০ শতাংশ বেড়েছে। আমরা কোনো ধরনের অযৌক্তিক বিলম্বের জন্য দুঃখিত এবং আবেদনকারীদের এটা বোঝার জন্য ধন্যবাদ। যেসব ভিসা আবেদনকারীদের তাদের পাসপোর্ট ফেরত প্রয়োজন, তারা আবেদনের মাধ্যমে প্রত্যাহার করতে পারবেন।
সময় রেখে ভিসা আবেদন ও প্রতারণার শিকার না হওয়ার জন্য ভিসাপ্রত্যাশীদের প্রতি আবেদন জানিয়েছে ভিএফএস গ্লোবাল। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন রাষ্ট্রের সহযোগী হিসেবে ভিএফএস গ্লোবাল প্রাশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এ কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদন ফরমসমূহ গ্রহণ ও ডকুমেন্ট সংরক্ষণ, বায়োমেট্রিক গ্রহণ এবং অ্যাম্বাসি বা দূতাবাস কর্তৃক সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর নিরাপদভাবে পাসপোর্ট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে ফেরত দেওয়া।
এতে বলা হয়, ভিএফএস গ্লোবাল অ্যাপয়েন্টমেন্টের প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করে না। ভিএফএস যে সব রাষ্ট্রকে সেবা প্রদান করে থাকে এই অ্যাপয়ন্টমেন্ট সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং শুধুমাত্র তারাই প্রদান করে থাকে। ভিসা অ্যাপয়ন্টমেন্টের প্রাপ্যতা, আবশ্যকীয় ডকুমেন্টসমূহ এবং ভিসা আবেদনের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের এবং ভিসা প্রসেসের সময়ও সম্পূর্ণ তাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ভিএফএস গ্লোবালের এ সমস্ত ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ভূমিকা নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভিসা অ্যাপয়ন্টমেন্ট সম্পূর্ণ ফ্রি এবং শুধুমাত্র www.vfsglobal.comএই ওয়েবসাইটে আগে] আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে পাওয়া যাবে।
এতে বলা হয়, করোনা মহামারি পরবর্তীতে সীমিত সংখ্যায় অ্যাপয়ন্টমেন্ট পাওয়ায় সব প্রকার ভিসা ক্যাটাগরিতে বিশেষ করে ওয়ার্কার ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও অপরাধী চক্র বা কালোবাজারি পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করে অর্থের বিনিময়ে ভিসা অ্যাপয়ন্টমেন্টের প্রতিশ্রুতি প্রদান করছে। ভিএফএস গ্লোবাল এ রকম বহু ভুয়া ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টস বা পেজ রিপোর্ট করে বন্ধ করেছে। এসব অপরাধী চক্র দাবি করে অর্থের বিনিময়ে অ্যাপয়ন্টমেন্টের ব্যবস্থা করা যায়, প্রতারণাপূর্বক ভিএফএস গ্লোবালের নাম ব্যবহার করে ভিসাপ্রত্যাশীদের কাছে অবৈধ ও অপরাধমূলক উপায়ে অর্থ আদায় করে।
বিবৃতিতে ভিএফএস গ্লোবাল বলেছে, দায়িত্বশীল সেবা প্রদানকারী হিসেবে ভিএফএস গ্লোবাল সব সময় ভিসাপ্রত্যাশীদেরকে সব প্রকার প্রতারণা ও অবৈধ লেনদেন থেকে বিরত থাকতে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিত কাজ করে যাবে। ভিসাপ্রত্যাশীদের নিকট আবেদন থাকবে তারা যেন সতর্কতার সঙ্গে সময় হাতে রেখে আবেদন করেন, যাতে নির্বিঘ্নে কাঙ্ক্ষিত ভিসা পেতে সমস্যা না হয়।